গত সপ্তাহ ধরে ভেবেছিলেন ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ আশা শেষ? পার্থে ভরাডুবির পর এমনটা ভাবারই কথা ছিল। কারণ সেই ম্যাচ জিতলেই ইংল্যান্ডের সিরিজে ফেরার সম্ভাবনা বেশি ছিল।
এবার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভেন্যু গ্যাব্বা—যে মাঠে ইংল্যান্ডের অতীত রেকর্ড ভয়ানক দুর্বল। আর তার সঙ্গে আছে गुलाबी বলের চ্যালেঞ্জ।
তবুও সব আশা শেষ নয়। বৃহস্পতিবার শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টের আগে ইংল্যান্ডের আশাবাদী হওয়ার কয়েকটি কারণ আছে।
১️⃣ গ্যাব্বার ‘দুর্গ’ ভাঙা সম্ভব
এই মাঠে ইংল্যান্ডের শেষ জয় ১৯৮৬ সালে। তবে সাম্প্রতিক রেকর্ড বলছে, আর আগের মতো অজেয় নয় গ্যাব্বা।
অস্ট্রেলিয়া ১৯৮৮ থেকে ২০২১ পর্যন্ত টানা ৩১ ম্যাচ অপরাজিত থাকলেও শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র দু’টি জিতেছে।
২০২১ সালে ঐতিহাসিকভাবে ভারত এই মাঠে চেজ করে জিতেছিল। ২০২৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজও এখানে অস্ট্রেলিয়াকে গোলাপি বলে হারিয়েছে।
অর্থাৎ একসময় যেটা ছিল অজেয় দুর্গ, এখন অন্য দলও এখানে জিতছে।
২️⃣ পিচ সাহায্য করতে পারে ইংল্যান্ডকে
গ্যাব্বার পিচ সাধারণত খুব দ্রুত এবং বাউন্সি হয়। যা ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের জন্য বড় সুবিধা হতে পারে।
আগের টেস্টেও দেখা গেছে—জোফরা আর্চার, গাস অ্যাটকিনসন, ব্রাইডন কার্স ও বেন স্টোকস ভালো লেন্থ পেলেই উইকেট এসেছে।
গবেষণা বলছে, এই মাঠে ‘হার্ড লেন্থ’ সবচেয়ে কার্যকর, এবং ইংল্যান্ডের পেসারদের অনেকেই সেই রেঞ্জে বল করেন।
৩️⃣ গোলাপি বলে ব্যাটিং দুদিকেই যেতে পারে
ডে-নাইট টেস্টে আলো জ্বলা অবস্থায় ব্যাটিং কঠিন হলেও দিনের আলোয় বল অনেক সময় তেমন নড়ে না। এটা ইংল্যান্ডের টপ-অর্ডারের জন্য বড় সুযোগ।
সারসংক্ষেপ:
গ্যাব্বায় রেকর্ড ভয় দেখালেও বাস্তবতা হলো—এই মাঠ আর আগের মতো ভয়ংকর নয়। ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণ এবং ম্যাচ কন্ডিশন থেকে আশার আলো দেখা যায়। বৃহস্পতিবারের টেস্ট নতুন চিত্রই দেখাতে পারে।
Source: BBC Sport
Details